ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫ , ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​২৪ লাখ শিশুকে বাঁচিয়ে ঘুমের মধ্যে চলে গেলেন জেমস

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৩-০৩-২০২৫ ০৮:২৫:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-০৩-২০২৫ ০৮:২৫:৪০ অপরাহ্ন
​২৪ লাখ শিশুকে বাঁচিয়ে ঘুমের মধ্যে চলে গেলেন জেমস ​ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক জেমস হ্যারিসন। দেশটিতে তিনি পরিচিত  'সোনালি হাতের মানুষ' হিসাবে। কারণ, কয়েক দশক ধরে নিয়মিত রক্ত ও প্লাজমা দানের মাধ্যমে ২০ লাখেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম ফলপ্রসূ এই ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি নার্সিং হোমে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান।

জেমস হ্যারিসনের রক্তে একটি বিরল অ্যান্টিবডি ছিল, যা 'অ্যান্টি-ডি' নামে পরিচিত। এটিকে 'লাইফব্লাড'ও বলা হয়, যা গর্ভবতী মায়েদের দেওয়া ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, ১৪ বছর বয়সে বুকে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের সময় রক্ত সঞ্চালনের পর তিনি 'দাতা হওয়ার অঙ্গীকার' করেছিলেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি রক্তের প্লাজমা দান শুরু করেন। এমনকি ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তর এই দান অব্যাহত রাখেন।

২০০৫ সালে তিনি সর্বাধিক রক্তের প্লাজমা দানের বিশ্ব রেকর্ড করেন। তবে ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি তার রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। হ্যারিসনের মেয়ে ট্রেসি মেলোশিপ বলেন, কোনো খরচ বা কষ্ট ছাড়াই এতগুলো মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পেরে আমার বাবা গর্বিত।

অ্যান্টি-ডি টিকাগুলো অনাগত শিশুদের ভ্রূণ এবং নবজাতকের হিমোলাইটিক ডিজিজ বা এইচডিএফএন নামে একটি মারাত্মক রক্ত ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় এই অবস্থাটি ঘটে যখন মায়ের লাল রক্তকণিকা তাদের ক্রমবর্ধমান শিশুর সঙ্গে বেমানান হয়। মায়ের ইমিউন সিস্টেম তখন শিশুর রক্ত কোষকে হুমকি হিসাবে দেখে এবং তাদের আক্রমণ করার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এটি শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, রক্তাল্পতা, হার্ট ফেইলিওর বা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

হ্যারিসনের রক্ত কীভাবে 'অ্যান্টি-ডি' সমৃদ্ধ হয়ে উঠল তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ১৪ বছর বয়সে প্রাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ায় ২০০ জনেরও কম 'অ্যান্টি-ডি' দাতা রয়েছে। তারা প্রতি বছর আনুমানিক ৪৫ হাজার মা এবং তাদের শিশুদের সহায়তা করে। অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস অনুসারে, এটি 'লাইফব্লাড' নামেও পরিচিত।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ